রাজনগর থানার ওসি শ্যামল বনিক বলেন, সোমবার অজ্ঞাত স্থানে আনিছ মিয়ার (৮০) মৃত্যু হয় বলে স্থানীয়রা জানালেও কোথায় তিনি মারা গেছেন তা জানা যায়নি।
বিকালে উপজেলার পাঁচগাঁও ইউনিয়নের পশ্চিমভাগে গ্রামের বাড়িতে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়েছে বলে ওসি জানান।
চলতি বছরের ১৭ জুলাই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার চার রাজাকারের মৃত্যুদণ্ডের রায় দেয়।
রাজনগরে গণহত্যা, হত্যা, ধর্ষণের মত মানবতাবিরোধী অপরাধে যুক্ত থাকার দায়ে তাদের এ দণ্ড দেওয়া হয়।
এরা হলেন আকমল আলী তালুকদার (৭৯), আব্দুন নূর তালুকদার ওরফে লাল মিয়া (৬৬), আনিছ মিয়া (৮০) ও আব্দুল মোছাব্বির মিয়া (৬৭)। রায় ঘোষণার সময় এদের মধ্যে আকমল আলী তারুকদার ছাড়া বাকি তিনজন পলাতক ছিলেন।
ওসি শ্যামল বনিক জানান, সোমবার দুপুর ২টার দিকে মরদেহ গ্রামের বাড়ি রাজনগর উপজেলার পাঁচগাঁও ইউনিয়নের পশ্চিমভাগে আনা হলে এলাকাবাসীর কাছে খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে সত্যতা নিশ্চিত হন।
“পরে পুলিশের সামনেই বেলা সাড়ে ৩টার দিকে তার দাফন সম্পন্ন হয়।”
মানবতাবিরোধী মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত পলাতক আসামি আনিছ মিয়ার মৃত্যুর বিষয়টি আদালতকে অবগত করবেন বলে জানান ওসি শ্যামল।
পাঁচগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শামসূন নূর আহমদ সাংবাদিকদের বলেন, “পলাতক অবস্থায় আনিছ মিয়া কোথায় মারা গেছেন তা সঠিক জানি না। তবে পরিবারের কাছ থেকে যতটুকু জানতে পেরেছি সোমবার সকালে সিলেটের অজ্ঞাত স্থানে তার মৃত্যু হলে তাকে সেখান থেকে পশ্চিমবাগে আনা হয়।”