জাফর আহমদ, কুলাউড়া প্রতিনিধি::মৌলভীবাজারের সীমান্তবর্তী উপজেলা কুলাউড়ায় ইদানিং বিভিন্ন মাদকের পাশাপাশি ইয়াবার বিস্তার ঘটেছে। ইয়াবা ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েছে অনেক তরুন যুবক-যুবতী। উপজেলার বিভিন্ন পয়েন্টে এখন ইয়াবা ব্যবসা চলছে। প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে মাদক কারাবারীরা এখন ইয়াবার চালান নিয়ে আসছে কুলাউড়ায়। আর ইয়াবার ছোবলে যুব সমাজ হচ্ছে ধবংস। বিভিন্ন সুত্রে জানা গেছে, উপজেলা শরীফপুর ইউনিয়ন হলো সীমান্ত সংলগ্ন। এ ইউনিয়নে মাদকের রয়েছে ছড়াছড়ি। ভারতীয় ফেনসিডিল, নাসির উদ্দিন বিড়ি, ইন্ডিয়ান মদ ও স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত গাঁজা এ ইউনিয়নে পাওয়া যায় হাতের নাগালে। এছাড়া ট্রেনের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মাদক চলে আসে কুলাউড়ায়। কুলাউড়া স্টেশন ও শরীফপুর ইউনিয়ন হয়ে মাদক পুরো কুলাউড়া উপজেলায় বিস্তার লাভ করে। বিগত কয়েকমাস থেকে পুরাতন মাদকের পাশাপাশি নতুনভাবে যোগ হয়েছে ইয়াবা। ইয়াবার ছোবলে কুলাউড়ার যুব সমাজ হচ্ছে সম্পৃক্ত।
মাদকের সর্গরাজ্য হিসেবে পরিচিত কুলাউড়ার রেলওয়ে স্টেশন এখন মাদকের জোয়ারে ভাসছে। পুলিশ নিয়মিত অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে, শুধু মাদক সেবনকারীদের গ্রেপ্তার করলেও, অদৃশ্য কারণে ধরা ছোয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে মাদক ব্যবসাযীরা। এতে ক্ষিপ্ত স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও এলাকাবাসী জানান, প্রশাসনের কিছু অসাধু কর্মকর্তার সঙ্গে মাদক কারবারিদের যোগসূত্র থাকায়, তারা মাদক ব্যবসায়ীদের ধরে না, শুধু মাদক সেবনকারীদের ধরে। যারা মূলত ব্যবসায়ী তারা সর্বদাই ধরাছোয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে। তাতে প্রতিনিয়তই চলছে মাদক ব্যবসা। সরজমিন গিয়ে অনুসন্ধানের মাধ্যমে জানা যায়, মাদক ব্যবসা করে কোটি টাকার মালিক হয়েছেন কুলাউড়ার উপজেলা কথিত সেই ইউনিয়ন চেয়ারম্যান । মাদকসহ, চুরি ছিনতাই, মাদক সম্রাট ও মাদক কারবারিদের গডফাদার নামে পরিচিত তিনি বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী নেতা ও বার বার নির্বাচিত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। জানা যায় সমস্ত মাদক ব্যবসায়ীদের নেতৃত্বে রয়েছে এই চেয়ারম্যান। তার অত্যাচারে মাদকের ওপর কোনো সাংবাদিক নিউজ করতে পারে না। কেউ নিউজ করলে তাকে মাদক দিয়ে ধরিয়ে দেয়ার হুমকিসহ নানা অপরাধে ধরিয়ে দেয়া হয়। কারণ তার সঙ্গে প্রশাসনের অসাধু কিছু কর্মকর্তা জড়িত রয়েছে। শুধু তাই নয় বিগত সময়ে সেলিম নামক একজন জাতীয় দৈনিক পত্রিকার সাংবাদিক নিউজ করতে গেলে তাকে বেদম মারধরসহ মোবাইল কেড়ে নিয়ে, মাদক দিয়ে পুলিশের হাতে ধরিয়ে দেয়া হয়েছিল। তার নির্যাতনের স্বীকার আরও অনেকে আত্মসম্মানের ভয়ে কেউই মুখ খুলে না। তার নেতৃত্বে হেরোইন ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে- উপজেলা ছত্রলিগ ও যোবলীগ । মাদক কারবারি দিবারাত্রি পুলিশকে বৃদ্ধা আঙ্গুল দেখিয়ে কুলাউড়ায় ব্যবসা করে যাচ্ছে।
এসব বিষয়ে কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শামসুদ্দোহা পিপিএম বলছেন, আমরা নিয়মিত অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে মাদকসেবন ও মাদক কারবারিদের গ্রেপ্তার অব্যাহত রেখেছি।