কমলগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সোহেল রানা জানান, এ ঘটনার ৩৫ দিন পর বুধবার দুপুরে সুবাস বাউরীর বাড়ির আঙ্গিনার মাটি খুঁড়ে তার স্ত্রী সুচিত্রা শব্দকরের (৪০) লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
সুবাসের বাড়ি উপজেলার মাধবপুর ইউনিয়নের পাত্রখোলা চা বাগানের পশ্চিম লাইনে।
এ ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলায় সুবাসকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পরিদর্শক সোহেল জানান, গত ২৬ জুন ভাত রান্না না করায় সুবাস কুঠারের হাতল দিয়ে তার স্ত্রী সুচিত্রার পেটে আঘাত করে। এ সময় সুচিত্রা ঘটনাস্থলেই মারা যান। পরে ঘরের উঠানের এক পাশে গর্ত করে সুচিত্রার লাশ পুঁতে রাখে সুব্রত।
সুচিত্রা চা বাগানের বাজারের পরিছন্নতাকর্মীর কাজ করতেন। গত ১ মাস ধরে সুচিত্রা কাজে না যাওয়ায় বাজারের দোকানিা তার স্বামীর কাছে সুচিত্রার খবর জানতে চাইলে সে জানায়, তার স্ত্রী হারিয়ে গেছে।
এ পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, এদিকে দীর্ঘ এক মাস ধরে মায়ের কোন খোঁজ না পেয়ে উপজেলার তিলকপুর এলাকা থেকে মোবাইল ফোনে সুচিত্রার আগের স্বামীর মেয়ে সীমা শব্দকর সুবাসের র কাছে তার মায়ের খবর জানতে চায়। সুবাস প্রথমে সুত্রিতা হারিয়ে গেছে বলে জানায়।
“পরে সীমা পাত্রখোলা চা বাগানে গিয়ে সুবাসকে বার বার চাপ দিলে বুধবার সকাল ১১টার দিকে সুবাস জানায় “তোর মা কে আমি কুঠার দিয়ে মেরে ঘরের পাশে পুঁতে রেখেছি।”
এ কথা শুনে সীমা চিৎকার করলে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে যায়। এ সময় সুবাস পালিয়ে যেতে চাইলে বাগানবাসী তাকে ধরে একটি গাছের সাথে বেঁধে রেখে থানায় খবর দিলে পুলিশ গিয়ে তাকে আটক করে। পরে তার দেওয়া তথ্যে সুচিত্রার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয় বলে জানান সোহেল।
শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ সার্কেলের এএসপি শহীদুল হক মুনসি জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সুবাস স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। এ ঘটনায় নিহতের আগের পক্ষের মেয়ে বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন।