মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার সিগুর পানজুম নিয়ে বিরোধের জের ধরে সোজা হোসেন (২৮) নামে এক পান ব্যবসায়ী কে হত্যা করা হয়েছে।
শনিবার (২২ জানুয়ারি ) রাতে উপজেলার ব্রাম্মনবাজার ইউনিয়নের সিগুর পানপুঞ্জিতে এ ঘটনাটি ঘটে। নিহত সোজা হোসেন ব্রাম্মনবাজার ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামের মতলিব হোসেনের পুত্র।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় তিন – চারবছর আগে সোজা সিগুর পানপুঞ্জিতে ৪ একর জায়গা লিজ নিয়ে পান চাষ করে আসছিল। প্রতিদিনের মতো পানপুঞ্জিতে কাজ করতে সোজা সেখানে যায়। বিকেলে সে বাড়ি না ফেরায় পরিবারের লোকজন চারদিকে খোঁজতে থাকে, পরের দিন সিগুর পানপুঞ্জির জুমে মাথায় ও সরিলে আঘাত করা অবস্থায় স্থানীয় লোকজন সোজার লাশ দেখতে পায় এবং সাথে সাথে তরা কুলাউড়া থানায় জানায় । অন্যদিকে সোজা হোসেনের পরিবার জানতে পারে সিগুর পান পুঞ্জির জুমে এক যুবকের লাশ পড়ে আছে। পরিবারের লোকজন সেখানে গিয়ে দেখতে পায় মৃতদেহটি সোজা হোসেনের। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ২৩ জানুয়ারি শনিবার সকাল ১০টার দিকে লাশটি উদ্ধার করে কুলাউড়া থানায় নিয়ে আসে।
নিহত সোজার বাবা মতলিব হোসেন জানান, পান চাষের জমি লিজ নেয়ার পর থেকে পান পুঞ্জির খাসিয়াদের সাথে বিরোধ চলছিলো । এর বিরোধের জের ধরেই সোজাকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি তাদের । এ ব্যাপারে ২৫শে জানুয়ারি কুলাউড়া থানায় নিহত সোজা হোসেনের বাবা বাদি হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন ।
কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ বিনয় ভুষণ লাশ উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, কেন, কি কারনে, কাহারা সেই হত্যাকাণ্ডটি ঘটিয়েছে সেই বিষয়টি তদন্ত চলছে এবং অতি দ্রুত আসামীদেরকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে । ২৪ জানুয়ারি ময়নাতদন্তের রিপোটে হত্যা সকল আলামত পাওয়া যায় ।
এদিকে ২৭ জানুয়ারি ৫নং ব্রাম্মনবাজারের ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও সোজা হোসেনের বড় ভাই সহ সোজা হত্যা মামলার আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার করে ফাঁসির দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন ।
সোজা সোসেনের হত্যাকে কেন্দ্র করে নবীনগরের বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব রিয়াজ আহমদ এর বাড়িতে ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে রাতের অন্ধকারে দুর্বৃত্তদের হামলা চালায় এতে মুক্তিযোদ্ধা রিয়াজ আহমদ গুরুতর আহত হন।
উল্লেখ্য, বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব রিয়াজ আহমদ সোজা হত্যার প্রধান আসামি সিরাজনগর চা বাগানের সহকারী ব্যবস্থাপক জাফর আহমদের পিতা।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ৩১শে জানুয়ারি মৌলভীবাজার জেলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদর্শন কুমার রায় এলাকা ও পানপুঞ্জি পরিদর্শন করেন এবং এলাকার শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দেন ।